220 likes | 774 Views
স্বাগতম. দীপংকর মন্ডল সহকারী শিক্ষক ফুলবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শ্রেণীঃ ৬ষ্ঠ, বিষয়ঃ সাধারণ বিজ্ঞান পাঠশিরোনামঃ মানব দেহের বাহ্যিক গঠন (ত্বক, পেশী ও অস্থি, কঙ্কাল). শিখনফল. ছবিতে কি দেখা যাচ্ছে ?. কঙ্কাল. কঙ্কাল কিঃ. কঙ্কালের কাজঃ.
E N D
দীপংকর মন্ডলসহকারী শিক্ষক ফুলবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়শ্রেণীঃ ৬ষ্ঠ, বিষয়ঃ সাধারণ বিজ্ঞানপাঠশিরোনামঃ মানব দেহের বাহ্যিক গঠন(ত্বক, পেশী ও অস্থি, কঙ্কাল)
কঙ্কালের কাজঃ কঙ্কাল আমাদের দেহের কাঠামো ঠিক রাখে। কঙ্কাল নাথাকলে দেহ কাঠামো মাংস পিন্ডাকার হত। কঙ্কালের জন্য আমরা সোজা হয়ে থাকতে পারি এবং নড়াচড়া করতে পারি। কঙ্কাল আমাদের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলো যেমন- হৃদপিন্ড, ফুষফুষ, ইত্যাদিকে ঢেকে রাখে। ফলে এগুলো বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা পায়। কঙ্কাল দেহের ভার বহন করে। কঙ্কাল পেশী আটকে রাখার তল সৃষ্টি করে। কঙ্কাল পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে চলাচলে সহায়তা করে।
কঙ্কালঃ মাথার খুলি বা করোটি মানুষের কঙ্কাল ২০৬ হাড় নিয়ে গঠিত। এ হাড়গুলো আকার-আকৃতি সব সমান নয়। কোনটি লম্বা কোনটি খাট আবার কোনটি চ্যাপ্টা। কঙ্কালের সবচেয়ে বড় আস্তি হলো ফিমার এবং সবচেয়ে ছোট অস্তি হলো কানের ভেতরের অস্তি। তের নাম স্টেপস। মানব কঙ্কালকে চারভাগে বিভক্ত। যথা- মাথার খুলি বা করোটি, দেহকান্ড, উর্ধ্বাঙ্গ এবং নিম্নাঙ্গ। দেহকান্ড উর্ধ্বাঙ্গ নিম্নাঙ্গ
মাথার খুলিঃ এটা অস্থির আবরণ। বাইরের আঘাত থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। মাথার খুলিতে আরো সুরক্ষিত থাকে নাক,কান ও চোখ। দেহ কান্ডঃ মারুদন্ড বিক্ষপিঞ্জর ইত্যাদি নিয়ে দেহকান্ড ঘটিত। আমাদের মারুদন্ড বা শিরদাড়াঁতে রয়েছে তেত্রিশ খানা অস্থি। মেরুদন্ড দেহকে সোজা রাখে এবং মস্তিষ্ককের ভার বহন করে।
বক্ষপিঞ্জরঃ এটা অনেকটা খাঁচার মত। বার জোড়া অস্থি দ্বারা গঠিত। এটা আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদপিন্ড, ফুষফুষ ইত্যাদি বেস্টন করে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে। উর্ধ্বাঙ্গ ও নিম্নাঙ্গঃ উর্ধ্বাঙ্গ ৬৪টি এবং নিম্নাঙ্গ ৬২টি অস্থি দ্বারা গঠিত এরা নড়াচড়া ও হাটা চলতে সাহায্য করে। অস্থিগুলো একটির সঙ্গে আর একটি সংযুক্ত হয়ে আমাদের দেহ কঙ্কাল গঠন করে। অস্থি জোড়াকে অস্থিসন্ধি বলে । অস্থিসন্ধি দুই প্রকার। যথাঃ সচল অস্থি সন্ধি ও অচল অস্থি সন্ধি।
সচল অস্থি সন্ধিঃ সচল অস্থিসন্ধির অস্থিগুলো প্রয়োজন মত নড়াচড়া করতে পারে। যথা – হাতে কবজি, কনুই ইত্যাদি। অচল অস্থি সন্ধিঃ এ ধরনের অস্থিসন্ধি খুব মজবুত। তাই অচল অস্থিসন্ধির অস্থিগুলো নড়াচড়া করে না। যেমন- মাথার খুইলিতে এ ধরনের অস্থি সন্ধি আছে।
হাড়ের গঠনঃ নিরেট অস্থি স্পঞ্জি অস্থি হাড় বা অস্থি অসংখ্যা অস্থিকোষ দিয়ে গঠিত। অস্থি খুব শক্ত। এতে ক্যালসিয়াম জাতীয় লবণ ও পানি রয়েছে। হাড়ের প্রান্তভাগ এক ধরনের মসৃণ আবরণে ঢাকা থাকে। এ আবরণকে বলা হয় তরুনাস্থি। তরুনাস্থি নরম কোষ দিয়ে তৈরি। আমাদের নাকের দগা ও বহিঃকর্ণ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি। হাড় ও তরুনাস্থি দ্বারাই কঙ্কাল গঠিত। অস্থির বাইরে পাতলা এক ধরনের পাতলা আবরণ থাকে। একে অস্থি আবরণী বলে। অস্থির ভেতরে রয়েছে রক্তনালী ও স্নায়ু। অস্থির দু প্রান্তে অবস্থিত স্পঞ্জের মতো ছিদ্রযুক্ত অংশকে স্পঞ্জি আস্থি বলে। অস্থির নালাকার অংশের ভেতরে রয়েছেওস্থি মজ্জা। তরুনাস্থি বহিরাবরণ মজ্জা
দলীয়কাজ • এটা কিসের ছবি? মানব দেহ গঠনে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
এটা একটা হাড়ের ছবি। মানব দেহ গঠনে এর ভূমিকা রয়েছে অনেক। মানবদেহর কাঠামো তৈরি হয় কঙ্কল দিয়ে অস্থির সমন্বয়ে। সুতরাং অস্থি না থাকলে কঙ্কাল গঠন সম্ভব হতোনা। মানবদেহের ছোত বড় অস্থিগুলোর কারনেই মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং কাজ অনুজায়ী বিভিন্নভাবে দেহকে নড়াচড়া করতে পারে। অস্থিগুলোর সুন্দর বিন্যাস ব্যাবস্থার কারনেই মানুষের দেহ সুবিন্যাস্তভাবে গঠিত হয়ে কাজ করতে পারছে। দেহের পেশীগুলো অস্থির সাথে যুক্ত থাকে, ফলে পেশী স্নগকোচন ও প্রসারণ সম্ভব হয়। অস্থি ছাড়া পেশী চলাচল করতে পারেনা। অস্থি থেকেই উৎপন্ন হয় লোহিত রক্তকণিকা।উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় মানব দেহ গঠনে অস্থির ভূমিকা বর্ণনাতীত।
মানব দেহের মোট কতটি অস্থি আছে? • মানবদেহের সবচেয়ে বড় ও ছোত অস্থির নাম কী? • মাথার খুলীর অস্থির নাম কী? • তরুণাস্থি কি দিয়ে তৈরি? • নিম্নে A চিহ্নিত অংশকে কি বলে? A