260 likes | 540 Views
স্বাগতম. উপস্থাপনায়. মো:- রাশেদ রায়হান (লিটন). সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার. দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুমারখালী, কুষ্টিয়া।. E-mail: rashedraihan1978@gmail.com Mobile: 01942778660. আজকের পাঠের বিষয়. কম্পিউটারের ইতিহাস. শিখনফল. এই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা---.
E N D
উপস্থাপনায় মো:- রাশেদ রায়হান (লিটন) সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুমারখালী,কুষ্টিয়া। E-mail: rashedraihan1978@gmail.com Mobile: 01942778660
আজকের পাঠের বিষয় কম্পিউটারের ইতিহাস
শিখনফল এই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা--- ÿ এ্যাবাকাস কী তা বলতে পারবে। ÿ নেপিয়ার রডসযন্ত্র সম্পর্কে বলতে পারবে । ÿ স্লাইড রুল যন্ত্র সম্পর্কে বলতে পারবে । ÿ প্যাসকেলাইন যন্ত্র সম্পর্কে বলতে পারবে । ÿ স্টেপড হুইল ক্যালকুলেটিং মেশিন সম্পর্কে বলতে পারবে। ÿ পাঞ্চ কার্ড সম্পর্কে বলতে পারবে। ÿ ডিফারেনসিয়াল ও এ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন সম্পর্কে বলতে পারবে। ÿ এ বি সি কম্পিউটারসম্পর্কে বলতে পারবে।
এ্যাবাকাস (Abacus) চিত্র :- হস্ত চালিত গণনার যন্ত্র এ্যাবাকাস ◊ হস্ত চালিত যন্ত্রের মাধ্যমে গণনা করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় এ্যাবাকাস। ◊ এ্যাবাকাস একটি সংখ্যা ভিত্তিক গণনার যন্ত্র। ◊ আনুমানিক প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীন দেশে এ্যাবাকাস প্রথম আবিস্কৃত হয়। ◊ চীনের পরে জাপানীরা এ্যাবাকাস ব্যবহার শুরু করে। ◊ চীনে ও জাপানের নিচের ক্লাসে বর্তমানে এ্যাবাকাসের ব্যবহার শেখানো হয়। ◊ এ্যাবাকাস যন্ত্রের গুটির মাধ্যমে বড় বড় অংকের হিসাব করা যায়। ◊ চীন দেশে এই যন্ত্রটিকে সোয়ান-পান বলে। ◊ জাপানীরা এ্যবাকাসকে সরোবান বলে।
নেপিয়ার রডস (Napier Rods) এ্যাবাকাসের পরে গণনার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় নেপিয়ার রডস (Napier Rods)। চিত্র :-জন নেপিয়ার ◊স্কটল্যান্ডের অধিবাসী জন নেপিয়ার একজন গণিতবিদ। ◊ শুধু মাত্র গুণ করার জন্য ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে জীবের হাড় ব্যবহার করে “নেপিয়ার রড” নামে হস্ত চালিত এই যন্ত্রটি তৈরী হয়।
নেপিয়ার রডস (Napier Rods) চিত্র :- নেপিয়ার রডস চিত্র :- নেপিয়ার রডস ◊ নেপিয়ার রডস যন্ত্রের সাহায্যে শুধু মাত্র গুণ করা যায়। ◊ প্রতিটি রডে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত ডিজিট সংখ্যা থাকে। ◊ প্রতিটি কলামে এক একটি নম্বরে বহু গুণিত ছিল। ◊ নেপিয়ার রডস এ্যাবাকাস যন্ত্রের মত সংখ্যা ভিত্তিক যন্ত্র ছিল।
স্লাইড রুল (Slide Rule) নেপিয়ার রড আবিস্কার হওয়ার মাত্র ছয় বছর পরে স্লাইড রুল আবিস্কার হয়। চিত্র :- উইলিয়াম অট্রেড ◊ ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডের গণিতবিদ উইলিয়াম অট্রেড স্লাইড রুল আবিস্কার করেন। ◊ স্লাইড রুলের সাহায্যে অতিদ্রুত ও নিভূল ভাবে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা যায়।
স্লাইড রুল (Slide Rule) উপরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের স্লাইড রুল।
প্যাসকেলাইন (Pascaline) স্লাইড রুলের পরে ১৬৪২ সালে ব্লেইজ প্যাসক্যাল নামক ফরাসী গণিতবিদ প্যাসকেলাইন নামক একটি ডিজিটাল ক্যালকুলেটিং মেশিন আবিস্কার করেন। চিত্র :-প্যাসকেলাইন চিত্র :- ব্লেইজ প্যাসক্যাল ◊ প্যাসকেলাইন দাত সম্বলিত চাকা ও চেইন দ্বারা গঠিত। ◊ প্যাসকেলাইন পৃথিবীর প্রথম ক্যালকুলেটর যন্ত্র। ◊ প্যাসকেলাইন দ্বারা অনেক জটিল যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের সমাধান করা যায়।
স্টেপড হুইল ক্যালকুলেটিং মেশিন প্যাসক্যালাইস যন্ত্রের পরে স্টেপড হুইল ক্যালকুলেটিং মেশিনটি ১৬৭৩ সালে জার্মানীর গডফ্রেভন লিবনিজ আবিস্কার করেন। এতে পিন-হুইল ব্যবহার করে ৫ থেকে ১২ অংকের গুণফল ১৬ অংকে সংরক্ষণ করতে সক্ষম ছিল। স্টেপড হুইল ক্যালকুলেটিং মেশিন গডফ্রেভন লিবনিজ
পাঞ্চ কার্ড (Punch Card) সালের শুরুতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে যা পরবর্তীতে হিসাব কার্যের স্বয়ংক্রিয়করণে একটি বিরাট ভূমিকা রাখে। সেটি হচ্ছে বস্ত্র শিল্পের পাঞ্চ কার্ড বা ছিদ্রযুক্ত কার্ডের ব্যবহার। পাঞ্চ কার্ড আবিস্কার করেন জ্যাকুয়ার্ড নামের একজন ফ্রান্স গণিতবিদ। জ্যাকুয়ার্ড
পাঞ্চ কার্ড (Punch Card) জাকারের তাঁত পাঞ্চ কার্ড কাপড়ের ডিজাইন তৈরির জন্য পাঞ্চ কার্ড আবিস্কার করেন। যার নাম দেওয়া হয় জাকারের তাঁত।ছিদ্রযুক্ত কার্ডের সাহায্যে তাঁতের সুতো চালাচালি নিয়ন্ত্রন করা হয়। যার ফলে কাপরের জটিল সব ডিজাইন ফুটে উঠে।
ডিফারেনসিয়াল ইঞ্জিন ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যারয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ ডিফারেনসিয়াল ইঞ্জিন নামে এক যন্ত্রের নকশা তৈরি করেন। চার্লস ব্যাবেজ
ডিফারেনসিয়াল ইঞ্জিন ◊যন্ত্রটি লিভার, গিয়ার, হাতল দিয়ে তৈরি। ◊ছোটখাট যোগ, বিয়োগ, গুণ ভাগ করা যেত। ◊যন্ত্রটিতে স্মৃতি ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়। ◊যন্ত্রটিতে প্রথম স্মৃতির ব্যবহারে পরিকল্পনা করা হয়।
এ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন চার্লস ব্যাবেজ পরে যে যন্ত্রটি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন তার নাম ছিল এ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন। ◊যন্ত্রটি নির্দেশ মেনে জটিল হিসাব নিকাশ সম্পুর্ণ করতে পারে। ◊যন্ত্রটি তথ্য জমা রাখা যায়। ◊যন্ত্রটিতে তথ্য ঢোকানো যায়। ◊যন্ত্রটিতে ফলাফল পাওয়া যায়।
এ বি সি কম্পিউটার চার্লস ব্যাবেজ এর মৃত্যুর ৭১ বছর পরে ১৯৪০ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জন আটানাসফ ও তার সহেযাগী ক্লিফোর্ড বেরি ভাল্ভ ব্যবহার করেছোট একটি কম্পিউটার তৈরি করেন। যা ABC (Atanasof Barry Computer)কম্পিউটার নামে পরিচিত। ABC কম্পিউটারকে পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার বলা হয়। ডঃ জন আটানাসফ ক্লিফোর্ড বেরি A B C (Atanasof Barry Computer)
দলীয় কাজ কাজ ১ :- জ্যাকুয়ার্ড এর পাঞ্চ কার্ড সম্পর্কে আলোচনা কর। কাজ ২ :- চার্লস ব্যাবেরেজ এ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন সম্পর্কে লিখ। কাজ ৩ :- এ বি সি কম্পিউটারসম্পর্কে আলোচনা কর।
মূল্যায়ন যন্ত্রটি কি কাজে ব্যাবহার হয়? এই যন্ত্রটি কে আবিস্কার করেন? যন্ত্রটির নাম কি? এই যন্ত্রটি কত সালে আবিস্কার হয়? এই ব্যাক্তির নাম কি? এই যন্ত্রটির নাম কি?
বাড়ির কাজ কম্পিউটারের সূচনা লগ্নথেকে বর্তমান যুগের কম্পিউটারের মধ্যে পার্থক্য
ধন্যবাদ সকল শিক্ষার্থীদের