610 likes | 923 Views
ইচ্চাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া গুনাহ না সওয়াব?. উপস্হাপনায় প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান F.R.C.S.(Glasgow) প্রফেসর অফ সার্জরী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সভাপতি কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন. অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া সম্বদ্ধে প্রচলিত ধারণা.
E N D
ইচ্চাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া গুনাহ না সওয়াব?
উপস্হাপনায়প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমানF.R.C.S.(Glasgow)প্রফেসর অফ সার্জরীঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সভাপতি কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া সম্বদ্ধে প্রচলিত ধারণা • অর্থ ছাড়া বা না বুঝে কুরআন পড়লে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকী • অর্থসহ বা বুঝে পড়লে প্রতি অক্ষরে আরো বেশী নেকী
প্রচলিত এ ধারণার ফলাফল • অধিকাংশ অনারব মুসলমান অর্থ ছাড়া কুরআন পড়তে পারার স্তর পর্যন্ত আরবী ভাষা শিখেছে • অধিকাংশ মুসলমান অর্থ ছাড়া, তাড়াতাড়ি কুরআন পড়ছে বা খতম দিচ্ছে। কারণ- • অর্থসহ পড়তে গেলে একই সময়ে অক্ষর কম পড়া হবে • ফলে সওয়াব কম পাওয়া যাবে
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে বিবেক-বুদ্ধির তথ্য
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে বিবেক-বুদ্ধির তথ্য তথ্য-১ • সওয়াব অর্থ কল্যাণ বা লাভ • ১০ নেকী অর্থ ১০ গুণ লাভ
একটি গল্পের বই পড়েও হাসতে বা কাঁদতে গেলে তা অর্থ বুঝে পড়া লাগে • বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী তাই, কোন গ্রন্হ অর্থ ছাড়া পড়লে লাভ হওয়াতো দূরের কথা সময় অপচয়ের ক্ষতি হয় • সুতরাং বিবেক-বুদ্ধির আলোকে সহজেই বলা যায়, অর্থ ছাড়া কুরআন পড়লে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকী কথাটি সঠিক হওয়ার কথা নয়।
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে বিবেক-বুদ্ধির তথ্য তথ্য-২ • অর্থছাড়া কুরআন পড়লে ১০ নেকী হলে অর্থছাড়া হাদীস পড়লে ৫ বা কিছু নেকী অবশ্যই হবে • কিন্তু পৃথীবির কোন ব্যক্তি অর্থছাড়া হাদীস পড়েন না • এখান থেকে বুঝা যায় অর্থছাড়া কুরআন পড়লে নেকী হয় না
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য • তথ্য-১ • আল-কুরআনে কুরআন পড়ার কথা বলতে যেয়ে আল্লাহ মাত্র ৩টি শব্দ ব্যবহার করেছেন, • শব্দ তিনটি হল-قَرَاءَ . رَتَلَ . تِلاَوَة • আরবী অভিধানে এ তিনটি শব্দের প্রতিটির অর্থ অধ্যয়ণ করা তথা অর্থসহ বুঝে বুঝে পড়া • সুতরাং যে সকল আয়াতে এ তিনটি শব্দ এসেছে তার সব কটির অর্থ হবে অর্থসহ বা বুঝে বুঝে পড়া
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-২ اِقْْرَأ بِسْمِ رَبِّكَ الَّذِى خَلَقَ সরল অর্থঃপড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। (আলাকঃ ১)
সঠিক ব্যাখ্যাকোনটি? বুঝে বুঝে পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন অথবা না বুঝে বুঝে পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
এ আয়াত অনুযায়ী তাই অর্থ ছাড়া কোন গ্রন্হ পড়া হল, মহান আল্লাহর প্রথম নির্দেশটি অমান্য করা
আল্লাহর প্রথম নির্দেশটিঅমান্য করলে সওয়াব হবে, না গুণাহ হবে?
ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর প্রথম নির্দেশটি অমান্য করলে ছগীরা না কবীরা গুণাহ হবে?
অবাক ব্যাপার হল যারা কুরআন অর্থ ছাড়া পড়েন তারা অন্য কোন গ্রন্হ অর্থ ছাড়া পড়েন না।
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৩ اََلَّذِيْنَ اتَيْنهُمُ الْكِتبَ يَتْلُوْنَه‘حَقَّ تِلاَوَتِه ط اُولئِكَ يُؤُمِنُوْنَ بِه ط অর্থঃযাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, (তাদের মধ্যে) যারা হক আদায় করে তা পড়ে, তারাই শুধু ঐ কিতাবে বিশ্বাস করে। (বাকারাঃ১২১)
ব্যাখ্যাঃযেকোন ব্যবহারিক গ্রন্হ পড়ার ৪টি প্রধান হক হল- • শুদ্ধ করে পড়া • অর্থ বুঝা • আমল করা • অন্যকে জানান (দাওয়াত দেয়া)
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৪.১ كِتبٌ اَنْزَلْنهُ اِلَيْكَ مُبرَكٌ لِّيُدَبَّرُوْا ايتِه অর্থঃযে কিতাব (আল-কুরআন) তোমার উপর নাযিল করা হয়েছে তা এক মহা বরকতময় কিতাব। মানুষেরা যেন এর আয়াত চিন্তা-গবেষণা করে। (সোয়াদ/৩৮ : ২৯)
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৪.২ اَفََلاََ يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْأنَ اَمْ عَلى قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَاَ ََُُ অর্থঃতারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না? না তাদের অন্তরে তালা পড়ে গিয়েছে? (মুহাম্মাদ/৪৭ : ২৪)
ব্যাখ্যাঃ এধরণের অনেক যায়গায় মহান আল্লাহ কুরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছে বা তা না করার জন্যে তিরস্বকার করেছেন।
অর্থ না বুঝে পড়া, চিন্তা-গবেষণার সম্পূরক না বিপরীত কাজ?
আল্লাহ যা করতে বলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিপরীত কাজ গুণাহ না সওয়াব?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৫ وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلاً ط ذلِكَ ظَنٌّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا جفَوَيْلُلِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنَ النَّارِ . অর্থঃমহাকাশ ও পৃথিবী এবং এ উভয়ের মধ্যে যাকিছু আছে,তার কিছুই আমি বিনাউদ্দেশ্যে সৃষ্টি, তৈরী বা প্রণয়ন করি নাই। এটি কাফির লোকদের ধারণা। আর ঐ ধরনেরকাফির লোকদের দোযখের আগুনে ধ্বংস হওয়া অনিবার্য। (ছোয়াদঃ ২৭)
ব্যাখ্যাঃ • এখানে বলা হয়েছে কোন কিছু আল্লাহ বিনা উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন বা করতে বলেছেন, এটি ধারণা করা কুফরী কাজ • তাহলে ঐ ধারণাকে বিশ্বাসে পরিণত করে, একটি কাজ, আল্লাহর জানিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য সাধন হয় না এমনভাবে করা, আরো বড় কুফরীর কাজ হবে
কুরআন তেলওয়াতের- • প্রথম স্তরের উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা • দিতীয় স্তরের উদ্দেশ্য সে অনুযায়ী আমল করা • তাই, এ আয়াতের আলোকে যে তেলওয়াতে জ্ঞান অর্জন হয় না, ইচ্ছাকৃতভাবে সেউপায়ে তেলাওয়াত করা, কুফরী কাজ হবে কি হবে না?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৬ مَثَلُ الَّّذِيْنَ حُمِّلُوْا التَّوْرةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوْهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ اَسْفَارًا ط অর্থঃযাদের তাওরাত বহন করতে দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা তা (প্রকৃতভাবে) বহন করেনি, তারা হল সেই গাধার মত যে কিতাব বহন করে নিয়ে বেড়ায়। (জুম’য়াঃ৫)
ব্যাখ্যাঃ • গাধা কিতাব বহন করে নিয়ে বেড়ায় কিন্তু জানে না সেখানে কি লিখা আছে • কুরআন মুখস্হ রাখা ব্যক্তি কুরআনকে বহন করে নিয়ে বেড়ায় • তাই এখানে আল্লাহ, অর্থ না জেনে কুরআন মুখস্হ রাখা ব্যক্তিকে, গাধা বলে গালি দিয়েছেন • মহান আল্লাহর গালি খাওয়ার কাজ, গুণাহের কাজ? না সওয়াবের কাজ?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৭ وَلاَ تَعْجَلْ بِالْقُرْأنِ مِنْ قَبْلِ اَنْ يُّقْضى اِلَيْكَ وَحْيُه وَقُلْ رَّبِّ زِدْنِى عِلْمًا অর্থঃকুরআন পড়তে তাড়াহুড়া কর না, যতক্ষণ না এর ওহী শেষ না হয়। তারপরও বলবে হে রব আমার জ্ঞানকে আরো বাড়িয়ে দাও। (ত্বোয়াহারঃ ১১৪)
ব্যাখ্যাঃ • ওহী শব্দের দুটি অর্থের একটি হল জিব্রাইল (আঃ) কতৃক আনা বিষয় এবং অন্যটি হল শিক্ষা। • তাই, এ আয়াত থেকে রাসূল (সঃ) এর জন্যে শিক্ষা হল, ‘আমার (জিব্রাইল আ.) পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কুরআন মুখ্স্হ করার জন্যে তাড়াহুড়া করবেন না। তারপরও বলবেন হে রব আমার জ্ঞানকে আরো বাড়িয়ে দিন’।
আর সাধারণ মানুষের শিক্ষা হল, ‘কুরআন তাড়াতাড়ি খতম দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ো না। একটি আয়াতের শিক্ষা বুঝা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য আয়াতে যেয়ো না। তারপরও বলবে হে রব আমার জ্ঞানকে আরো বাড়িয়ে দিন’।
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য • তথ্য-৮ • গুনাহের কাজে সহায়তার দৃষ্টিকোণ- • ইসলামে গুণাহের কাজে সহায়তা করা গুণাহ • কুরআন অনুযায়ী সব গুনাহের বড় গুনাহ হল কুরআনের জ্ঞান থেকে দূরে থাকা • অর্থ ছাড়া কুরআন পড়লে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকী কথাটি- • সব গুনাহের বড় গুনাহের কাজে দারুণ ভাবে সহায়তাকরে • তাই এ কথাটি কুরআন সিদ্ধ কথা হবে, না বিরুদ্ধ কথা হবে?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্য তথ্য-৯ يَااَيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا لاَ تَقْرَبُ الصَّلوةَ وَ اَنْتُمْ سُكَرى حَتّى تَعْلَمُوْا مَا تَقُوْلُوْنَ অর্থঃহে ঈমানদারগণ নেশাগ্রস্হ অবস্হায় নামাজের কাছে যাবে না, যতক্ষণ না বুঝতে পার কী পড়ছো। (নিসাঃ ৪৩)
ব্যাখ্যাঃনামাজে কী পড়া হচ্ছে তা বুঝতে না পারার ৩টি অর্থ হতে পারে- • কুরআন পড়া হচ্ছে, না অন্য কিছু পড়া হচ্ছে, তা বুঝতে না পারা • কুরআনের পড়া শুদ্ধ হচ্ছে কিনা তা বুঝতে না পারা • কুরআনের যা পড়া হচ্ছে তার অর্থ বুঝতে না পারা • নেশাগ্রস্থ মানুষের উপর এ শর্তের প্রয়োগ সিদ্ধ হলে, সুস্হ মানুষের উপর এর প্রয়োগ সিদ্ধ হবে, কি হবে না?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-হাদীসের তথ্য
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-হাদীসের তথ্য তথ্য-১ وَعَنْ حُذَيْفَةَ(رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ (ص) أِقْرَؤُا الْقُرْأنَ بِلَحُوْنِ الْعَرَبِ وَ اَصْوَاتِهَا وَ اِيَّاكُمْ لُحُنَ اَهْلِ الْعِشْقِ وَ لُحُوْنَ اَهْلِ الْكِتَابَيْنِ . وَسَيَجِئُ بَعْدِىْ قَوْمٌ يُرَجِّعُوْنَ بِالْقُرْأنِ تَرْجِعَ الْغِنَاءِ وَالنَّوْحِ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ . مَفْتُوْنَةٌ قُلُوْبُهُمْ وَ قُلُوْبُ الَّذِيْنَ يُعْجِبُهُمْ شَأْنُهُمْ
অর্থঃহুযায়ফা(রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল(সঃ) বলেছেন, কুরআন পড় আরবদের সুর ও স্বরে এবং পরিহার কর আহলে ইশক ও আহলে কিতাবদের সুর। শীঘ্রই আমার পর এমন লোকেরা আসবে যারা কুরআনে গান ও বিলাপের সুর ধরবে কিন্তু কুরআন তাদের হলকমের নিচে নামবে না। তাদের অন্তর হবে দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত এবং তাদের অন্তরও যারা ঐ পদ্ধতি পছন্দ করবে। (বায়হাকী ও রাজীন)
দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত মানুষ গুণাহগার নেক কার?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-হাদীসের তথ্য তথ্য-২ وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِِ عَمْرٍ(رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ (ص) قَالَ لَمْ يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَ الْقُرْأنَ فِىْ اَقَلَّ مِنْ ثَلثٍ অর্থঃআবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল(সঃ) বলেছেন, যে তিন দিনের কমে কুরআন পড়েছে সে কুরআন বোঝেনি। (তিরমিজি, আবু-দাউদ, ইবনে মাজাহ)
ব্যাখ্যাঃ • তিন দিনের কমে ১টি আয়াত বা ১টি ছোট সূরা বুঝে তথা অর্থসহ পড়া সম্ভব • তাই সহজেই বোঝা যায়, রাসূল (সঃ) এখানে না বুঝে কুরআন খতম দিতে নিষেধ করেছেন।
ব্যাখ্যাঃ • পড়া আমলটির ফরজ আরকান হল জ্ঞান অর্জিত হওয়া • ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ আরকান তরক করে কোন আমল করলে সওয়াব হয়, না গুণাহ হয়? • তাহলে, ইচ্ছাকৃতভাবে জ্ঞান অর্জন হয় না এমনভাবে কুরআন পড়লে, সওয়াব হবে, না গুণাহ হবে?
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-হাদীসের তথ্য তথ্য-৪ যারা কুরআন পড়বে কিন্তু কুরআন তাদের হলকুমের নিচে নামবে না তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এমন বেগে যেমন বেগে তীর ধনুক হতে বের হয়ে যায়। (বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা)
অর্থ ছাড়া কুরআন পড়ার ব্যাপারে আল-হাদীসের তথ্য তথ্য-৫ জ্ঞান দু প্রকার। এক প্রকার হল সে জ্ঞান যা মুখ অতিক্রম করে অন্তরে পৌঁছায়। এ জ্ঞানই কিয়ামতে কাজে আসবে। অন্য প্রকার জ্ঞান মুখ পর্যন্তই থাকে, অন্তরে পৌঁছায় না। এ জ্ঞান কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে মানুষের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে দাঁড়াবে। (দারেমী)
যে হাদীসের অসতর্ক ব্যাখ্যার মাধ্যমেঅর্থ ছাড়া কুরআন পড়লে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকী কথাটি চালু হয়েছে
وَ عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ (ص) مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِّنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَه‘ بِه حَسَنَةٌ وَ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ اَمْثَالِهَا . لاَ اَقُوْلُ الم حَرَفٌ .بَلْ اَلِفٌ حَرَفٌ وَّلاَمٌ حَرَفٌ وَّ مِيْمٌ حَرَفٌ
অর্থঃইবনে মাসউদ(রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল(সঃ) বলেছেন, যে আল্লাহর কিতাবের একটি অক্ষর قَرَأَ করেছে তার নেকী মিলবে। আর নেকী হল আমলের ১০ গুণ। আমি বলছি না যে الم একটি অক্ষর। বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর এবং মিম একটি অক্ষর। (তিরমিযি, দারেমী। তিরমিযি হাদীসখানিকে গরীব বলেছেন)
হাদীসখানির অসতর্ক ব্যাখ্যা থেকেব্যাপকভাবে চালু হওয়া কথা হাদীসখানির অসতর্ক ব্যাখ্যা থেকে, ‘কুরআনের একটি অক্ষর অর্থ ছাড়া পড়লে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকী হবে’ কথাটি মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে
হাদীসখানির অসতর্ক ব্যাখ্যাটির গ্রহণযোগ্যতা • এ ব্যাখ্যা পূর্বে উল্লিখিত কুরআন, হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধির অসংখ্য তথ্যের স্পষ্ট বিপরীত • তাই, এ ব্যাখ্যা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
হাদীসখানির প্রকৃত ব্যাখ্যা হাদীসখানি আল-কুরআনের নিম্নের আয়াতের একটি ব্যাখ্যা- مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَه‘ عَشْرُ اَمْثَالِهَا ج অর্থঃযে একটি আমলে সালেহ (সঠিকভাবে) করবে তার ১০টি নেকী মিলবে। (আ’রাফঃ ১৬০)