120 likes | 289 Views
Visual Presentation of Bangladesh International Crimes Trial by Samakal Online
E N D
যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক অপরাধট্রাইব্যুনাল • ২৯ জানুয়ারি ২০০৯: সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। • কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
২৫ মার্চ ২০১০: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং অপরাধ তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। • ২২ মার্চ ২০১২: দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
২৯ জুন ২০১০: ধর্মানুভূতিতেআঘাতদেয়ারমামলায়জাময়াতেরআমিরমতিউররহমাননিজামী, নায়েবেআমিরদেলাওয়ারহোসাইনসাঈদী ও সেক্রেটারিজেনারেলআলীআহসানমোহাম্মদমুজাহিদকেগ্রেপ্তারকরাহয়।
২৬ জুলাই ২০১০: প্রথম শুনানির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। • একইদিনজামায়াতে ইসলামীর চার নেতামতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকরেট্রাইব্যুনাল।
প্রথমরায়: ২১ জানুয়ারি ২০১৩ প্রথম রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল-২। • সেই রায়ে মুক্তিযুদ্ধকালের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। • ১৩২ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়: কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ষড়যন্ত্র, উস্কানিসহ ছয়টি অপরাধের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। • এসব অপরাধে দুটিতেযাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিনটিতে১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩: ট্রাইব্যুনাল-১ প্রথম মামলার রায় দেয়। • এ রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনশেষ হয়েছে, চলছে আসামিপক্ষের পালা। • গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ: মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সহযোগিতা এবং হত্যাও নির্যাতনের পাঁচটি অভিযোগে ৬০টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে ষড়যন্ত্রের ছয়টি, পরিকল্পনার তিনটি, উসকানিদানের ২৮টি, সহযোগিতার ২২টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের একটি ঘটনা।
মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে দুই ট্রাইব্যুনালে সাতটি মামলার বিচার চলছে। এর মধ্যে দুটি মামলা রয়েছে শেষ পর্যায়ে। বাকি পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটি রয়েছে মাঝপর্যায়ে, একটি শুরুর দিকে। আরেকটিতে এখনো অভিযোগ গঠিত হয়নি। • ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগের মামলাটি মাঝপর্যায়ে রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা নিজামীর বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। • এ ট্রাইব্যুনালে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. মোবারক হোসেনের আরেকটি মামলা যোগ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হবে৪ এপ্রিল থেকে।
ট্রাইব্যুনাল-২-এ বিচারাধীন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও এনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলা দুটিও মাঝপর্যায়ে রয়েছে। • মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। • বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১২ জন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৭টি।
স্কাইপ বিতর্ক ও বিচারপতির পদত্যাগ: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে ট্রাইব্যুনাল-১-এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সঙ্গে এক প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর। • গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর একটি আদেশের মাধ্যমে প্রথম জানা যায়, বেলজিয়াম প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন। • ৯ ডিসেম্বর দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে ওই কথোপকথন ছাপা হওয়া শুরু হলে ১১ ডিসেম্বর নিজামুল হক পদত্যাগ করেন। • ১৩ ডিসেম্বর একসঙ্গে দুটি ট্রাইব্যুনালই পুনর্গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান করা হয়, ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে একই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩: কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় দেশের পরিবেশ পাল্টে দিলো। নতুন একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেপ্রজন্ম। মানি না মানবো না! শ্লোগান আর সমাবেশ। • ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩: শাহবাগেরগণজাগরণমঞ্চেরদাবিরপ্রতিএকাত্মতাজানিয়েঅবশেষেআইনসংশোধনকরাহয়। • সংশোধিত আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশাপাশি দল বা সংগঠনেরও বিচারের সুযোগ থাকছে। কইসঙ্গে ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির পাশাপাশি সরকারেরও আপিল করার সমান সুযোগ রাখা হয়।