340 likes | 521 Views
পরিকল্পনায়. সুমনা তনু ইনস্ট্রাক্টর(বিজ্ঞান) খুলনা পিটিআই, খুলনা।. ডিপিএড কোর্স প্রাথমিক বিজ্ঞান. সময়ঃ ৯০ মিনিট. শুভেচ্ছা সকলকে. মশা. অ্যানোফিলিস. এডিস মশা. কৃমি. আজকের পাঠ. কীটপতঙ্গ দ্বারা সংক্রমিত রোগ ও অন্যান্য রোগ. শিখনফল. এই অধিবেশন শেষে শিক্ষার্থীগণ-
E N D
পরিকল্পনায় সুমনা তনু ইনস্ট্রাক্টর(বিজ্ঞান) খুলনা পিটিআই, খুলনা। ডিপিএড কোর্স প্রাথমিক বিজ্ঞান সময়ঃ ৯০ মিনিট
মশা অ্যানোফিলিস এডিসমশা
আজকের পাঠ কীটপতঙ্গ দ্বারা সংক্রমিত রোগ ও অন্যান্য রোগ
শিখনফল • এই অধিবেশন শেষে শিক্ষার্থীগণ- • ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। • কৃমিজনিত রোগের কারণ ও এর ক্ষতিকর দিকগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। • বাতজ্বর ও নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ব্যাখ্যা করতে পারবেন। • শিক্ষার্থীরা বর্ণিত রোগগুলো থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সচেতন হবেন।
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ • কাঁপু্নি সহ জ্বর আসে। • কিছুক্ষণ পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়। • মাথা ব্যথা করে, বমি বমি ভাব হয়। • প্লীহা ও যকৃতের বৃদ্ধি হয়। • রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। • খাবারে অরুচি হয়। • সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারে।
ম্যালেরিয়া যেভাবে ছড়ায়- ভিডিও ম্যালেরিয়া রোগ বিস্তার
ম্যালেরিয়া থেকে প্রতিরোধ
*কোথাও পানি জমতে না দেওয়া *ড্রেন ও যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে মশা মারার ঔষধ ছিটান।
ঝোপঝাড় আগাছা পরিস্কার রাখা।
বসতবাড়িতে ও আশেপাশে প্রয়োজনে মশার ঔষধ প্রয়োগ করা।
ম্যালেরিয়া থেকে প্রতিকার • ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা করতে হবে।
দলীয় কাজ নিচের রোগগুলোর লক্ষণ, বিস্স্তারের উপায় ,নিরাময় ও প্রতিরোধ লিখুন- দল- শাপলাঃডেঙ্গু দল- গোলাপঃ কৃমি দল- জবাঃ বাতজ্বর দল- গাঁদাঃ নিউমোনিয়া
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ • উচ্চমাত্রার জ্বর হয়। • শরীরে ব্যথা হয়। • পেটে ব্যথা হয়। • বমি বা বমির ভাব হয়। • হেমোরেজিক ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট রক্তকণিকা কমে যায়।
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার এডিস ইজিপটাই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুর বাহক। স্ত্রী এডিস মশার দংশনে এ রোগ ছড়ায়।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ • মশা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। • এডিস মশা ডিম পাড়ে পরিস্কার পানিতে, কাজেই কোন পানি জমতে দেওয়া যাবে না। • ডাবের ফেলে দেওয়া অংশ ফুল গাছের টব, ভাঙ্গা পাত্র, কোন স্থানে পানি জমে থাকা ঐ সকল পাত্র এবং স্থান পরিস্কার করতে হবে। • মশারিতে ঘুমাতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার • জ্বরের সময় রোগীর কানের পেছনে বা অন্য কোন স্থানে রক্ত জমার মতো কোন চিহ্ন দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। • জ্বর কমার জন্য কেবল প্যারাসিটামল টেবলেট ব্যবহার করা যাবে। কোন মতেই এসপ্রিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
কৃমিজনিত রোগ লক্ষণঃ • নাভির চারিদিকে ব্যথা করে। • খিদে কমে যায়। • বমির উদ্রেক হয়। • চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। • রোগী দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে যায়।
কৃমি রোগে আক্রান্ত শিশু
কৃমি রোগ বিস্তার অপরিচ্ছন্নতা এ রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ।যেমন- • হাত না ধুয়ে খাবার গ্রহন করলে। • শাক-সবজি ও ফলমূল না ধুয়ে খেলে। • মলত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে ভাল করে না ধুয়ে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত না ধুলে। • নখ বড় থাকলে। • অপরিচ্ছন্ন স্থানে খালি পায়ে হাঁটলে।
কৃমি রোগের প্রতিরোধ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই কৃমি রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।যেমন- • কোন সময় নখ বড় রাখা যাবে না। • নিরাপদ পানি দিয়ে ফলমূল ধুয়ে খেতে হবে। • রান্নার আগে শাক-সবজি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। • যত্রতত্র মল ত্যাগ করা যাবেনা,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যাবহার করতে হবে। • স্যান্ডেল পায়ে পায়খানায় যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। • মল ত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। • খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
বাতজ্বর বিস্তারের কারণঃ • বাসস্থান অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর হলে স্ট্রেপটোকক্কাস নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাতজ্বরের লক্ষণ • শিশুর খাওয়ায় অরূচি দেখা দেয়। • দেহের ওজন কমতে থাকে। • ঘন ঘন জ্বর ও গলা ব্যথা হয়। • হাত এবং পায়ের গিটে ব্যথা হয়। • মাঝে মধ্যে বুকে ব্যথা হয়ে থাকে।
বাতজ্বরের প্রতিকার • রক্ত ও লালা পরীক্ষা করে রোগী এ রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। • দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। • পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও সুচিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। • এ রোগের চিকিৎসায় অবহেলা করলে হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
নিউমোনিয়া • সারা বিশ্বে শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রধানতম রোগ নিউমোনিয়া। • প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ লাখ শিশু মারা যায় নিউমোনিয়ায় যা হাম, ম্যালেরিয়া, এইডসের সমন্বিত মৃত্যুর চেয়েও বেশি। পৃথিবীর মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লাখ বাচ্চা আক্রান্ত হয় এবং ৫০,০০০ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই মৃত্যুর অন্যতম কারণ গণসচেতনতার অভাব। সঠিক সময়ে চিকিৎসার জন্য অগ্রসর না হওয়া।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ • জ্বর থাকে। • কাশি দেখা দেয়। • দ্রুত শ্বাস নেওয়া। • ২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মিনিটে ৬০ বার বা এর থেকেও বেশি প্রশ্বাস। • ২ মাস-১বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মিনিটে ৫০ বার বা তার বেশি প্রশ্বাস। • ১-৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মিনিটে ৪০ বার বা তার বেশি প্রশ্বাস। • শ্বাস নেয়ার সময় বুকের নিচের অংশ ভিতরের দিকে ডেবে যায়। • শিশুর বুকে অনেক সময় ঘড় ঘড় শব্দ হয়।
নিউমোনিয়ার বিস্তার • মূলত হাচি-কাশির মাধ্যমে নিউমোকক্কাস নামক ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা এ রোগ ছড়ায়।
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার • শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো। • স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যাওয়া। • সময়মতো শিশুকে টিকা প্রদান করা। • অতিরিক্ত ঠান্ডা স্থানে শিশুকে না থাকতে দেওয়া। • দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মূল্যায়ন • দল-গোলাপ: ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে হলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত? • দল-শাপলা: নিউমোনিয়া রোগের কারণ লিখুন। • দল-জবা: কৃমি কীভাবে মানুষকে আক্রান্ত করে? • দল-গাঁদা: বাজ্বরের লক্ষণগুলো লিপিবদ্ধ করুন। সকলে একক ভাবে খাতায় লিখবে।
পাঠ বিশ্লেষণ • ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বই-এর ৪৫ও ৪৬ পৃষ্ঠায় এ সংক্রান্ত পাঠ আছে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কীভাবে ফলপ্রসূভাবে এই পাঠ দেওয়া যেতে পারে বলে আপনারা মনে করেন?